শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আর কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল। এর মধ্যে সরকার দলীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকা ক্রমাগত দীর্ঘ হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কৌশলে মাঠে গণসংযোগ, নানা কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই নানাভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মিশনে নেমেছে।
এসব প্রার্থীদের কেউ কেউ বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এসব বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। ক্ষেত্র বিশেষে এসব প্রার্থীরা গুজবও সৃষ্টি করা শুরু করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রার্থী বা তার পক্ষের লোকজন নিজেদের কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ যোগাতে টাকার বিনিময়ে এসব বিভান্তি ও গুজব সৃষ্টি করে থাকতে পারেন।
আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর তালিকা চ‚ড়ান্ত করতে নানামুখি কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। এর মধ্যে পরিচ্ছন্ন, বির্তক বিহীন, সন্ত্রাস-মাদক ও দূর্নীতি মুক্তি নেতাকে জোর দিচ্ছে দলটি। যার জন্য দলের একাধিক নেতা আসন ভিত্তিক প্রার্থীর সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করেছে। একই সঙ্গে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাও যাচাই বাছাই করে তালিকা সংক্ষিপ্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার জেলার সংসদীয় আসন ৪ টি। যে ৪ টি আসনে ১২ জন প্রার্থীকে সম্ভাব্য ধরে প্রার্থীর অতীত বর্তমান নিয়ে তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা।
এর মধ্যে গত ৩ জুলাই আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুলত ব্রাক্ষণবাড়িয়া ২ ও লক্ষীপুর ৩ আসনের মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোন জেলার প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে কোন আলোচনা না হলে কক্সবাজারে এই নিয়ে ইতিমধ্যে বিভ্রান্তিকর একটি সংবাদ কয়েকটি পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে।
অথচ মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র বলছে, সভায় কোন জেলা বা প্রার্থী নিয়ে সুনিদির্ষ্ট আলোচনা হয়নি। তবে সভায় উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের জেলা সমুহে আওয়ামীলীগের একাধিক সংখ্যক প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পোর্টালের প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
এছাড়া বিভিন্ন সময় এসব নিউজ পোর্টাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী বিশেষ এগিয়ে বা মনোনয়ন পাচ্ছে এ ধরণের সংবাদও প্রকাশ করেছে।
যা বিভ্রান্তিকর ও গুজব বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মুলত নিজের সমর্থিত কর্মীদের উৎসাহ দিয়ে একটি ভিত্তি তৈরির চেষ্টার মিশন এটি। যেখানে টাকা বিনিয়োগ করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে ততই এধরণের বিভ্রান্তি ও গুজব বাড়তে থাকবে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply